স্পোর্টস ডেস্ক: প্রতিভা কখনই চাপা রাখা যায় না। যদি তা স্ফুলিঙ্গ হয়। তার উদাহরণ বিশ্বের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড নেইমার। মেসি-রোনাল্ডো যেখানে ব্যর্থ, সেখানে সফল সেলেকাও তারকা।
ব্রাজিলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সবাই দেখেছেন, শেষদিকে ভালো খেলে জিতেছে ব্রাজিল। ২-০ গোলে মেক্সিকোকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেছে।
ম্যাচের পরতে পরতে কী ঘটেছে তা হয়তো হৃদয়ঙ্গম করতে পারেননি অনেকেই। প্রথম ২০ মিনিট আধিপত্য ছিল মেক্সিকোর। সেসময় চাপে ছিল ব্রাজিল। মেক্সিকো এগিয়ে গেলে কী হতো বলা মুশকিল। গোলের সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি মেক্সিকো।
চড়াও হয়ে খেলে গোল না পাওয়ার হতাশায় ধীরে ধীরে নিস্তেজ হতে শুরু করে মেক্সিকো। দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত শুরু করেন উইলিয়ান। দ্বিতীয় রাউন্ডে অসাধারণ খেলেছেন তিনি। চেলসিতে যেভাবে খেলেন। তিনি ভালো খেলতেই ঘুরে দাঁড়ায় ব্রাজিল। ছন্দে ফেরেন নেইমারও।
উইলিয়ান ও নেইমারের বোঝাপড়া ছিল দারুণ। প্রথম গোলের পর মেক্সিকো ফের প্রাধান্য বিস্তার করতে শুরু করে। বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে তারা।
শঙ্কা জেগে ছিল ব্রাজিল শিবিরে। সাম্বার দুই মিডফিল্ডার কাসেমিরো ও পাউলিনহো দারুণ খেলেছেন। শেষদিকে ব্রাজিল আবার ছন্দে ফিরে আসে।
তাদের গোলকিপার অ্যালিসনের দক্ষতায় গোল হজম করতে হয়নি। নেইমারের সহযোগিতায় ফিরমিনো গোল করেন। তবে জয় পেলেও ব্রাজিল ফেভারিটের মতো খেলতে পারেনি। মাঝমাঠে আরও কাজ করতে হবে।
এদিকে বেলজিয়ামের ঘুম প্রায় হারাম করে দিয়েছিল জাপান। এমন চমৎকার ফুটবল তারা খেলবে তা কল্পনাও করতে পারেনি কেউ।
দারুণ ফুটবলশৈলী দেখিয়েছে এশিয়ার দেশ। শেষ গোল হজমের আগ পর্যন্ত অ্যাটাকিং খেলেছে। বেলজিয়ামের মতো ফর্মে থাকা দলের বিপক্ষে ২-০ গোলের লিড নেয়া চাট্টিখানি কথা নয়।
হারলেও জয়ের স্বাদ নিয়ে ফিরছে জাপান। ৬০ মিনিট পর্যন্ত যারা ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল বেলজিয়ামের বিপক্ষে, তাদের মানসিকভাবে জয়ীই বলা যায়। আমার কাছে বেলজিয়ামের তৃতীয় গোলটি ছিল বিশ্বকাপের কাউন্টার অ্যাটাকে অন্যতম সেরা গোল।
সূত্র, যুগান্তর